গ্রীষ্মকালে যখন তাপমাত্রা বেশি থাকে, তখন ভালো ডিম উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য, ভালো ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন। প্রথমত, প্রকৃত পরিস্থিতি অনুসারে মুরগির খাবার যুক্তিসঙ্গতভাবে সমন্বয় করা উচিত এবং তাপের চাপ প্রতিরোধের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
গ্রীষ্মকালে ডিম পাড়া মুরগিকে কীভাবে খাওয়াবেন?
১. খাদ্যের পুষ্টির ঘনত্ব বৃদ্ধি করুন
গ্রীষ্মকালে, যখন পরিবেশের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়, তখন মুরগির খাদ্য গ্রহণ সেই অনুযায়ী হ্রাস পাবে। পুষ্টির গ্রহণও সেই অনুযায়ী হ্রাস পাবে, যার ফলে ডিম উৎপাদন কম হবে এবং ডিমের মান খারাপ হবে, যার জন্য খাদ্যের পুষ্টি বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে।
উচ্চ তাপমাত্রার মৌসুমে, ডিম পাড়ার মুরগির শক্তির চাহিদা স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের মানের তুলনায় প্রতি কিলোগ্রাম খাদ্য বিপাকের ০.৯৬৬ মেগাজুল হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ, কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে গ্রীষ্মে খাদ্যের শক্তির ঘনত্ব যথাযথভাবে হ্রাস করা উচিত। তবে, ডিম উৎপাদনের হার নির্ধারণের জন্য শক্তিই মূল চাবিকাঠি। ডিম পাড়ার মুরগিডিম পাড়া শুরু করেছে। উচ্চ তাপমাত্রায় খাদ্য গ্রহণ কম হওয়ার কারণে প্রায়শই অপর্যাপ্ত শক্তি গ্রহণের ঘটনা ঘটে, যা ডিম উৎপাদনকে প্রভাবিত করে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে গ্রীষ্মের উচ্চ তাপমাত্রায় খাবারে ১.৫% রান্না করা সয়াবিন তেল যোগ করলে ডিম উৎপাদনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই কারণে, ভুট্টার মতো সিরিয়াল ফিডের পরিমাণ যথাযথভাবে হ্রাস করা উচিত, যাতে এটি সাধারণত ৫০% থেকে ৫৫% এর বেশি না হয়, এবং খাদ্যের পুষ্টির ঘনত্ব যথাযথভাবে বৃদ্ধি করা উচিত যাতে এর উৎপাদন কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে।
২.যথাযথভাবে প্রোটিন ফিডের সরবরাহ বৃদ্ধি করুন
কেবলমাত্র খাদ্যে প্রোটিনের মাত্রা যথাযথভাবে বৃদ্ধি করে এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের ভারসাম্য নিশ্চিত করেই আমরা প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারিডিম পাড়ার মুরগিঅন্যথায়, অপর্যাপ্ত প্রোটিনের কারণে ডিম উৎপাদন প্রভাবিত হবে।
খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণডিম পাড়ার মুরগিগরম ঋতুতে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ১ থেকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি করা উচিত, যা ১৮% এরও বেশি। অতএব, ফিডে সয়াবিন মিল এবং তুলার কার্নেল কেকের মতো কেক মিল ফিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যার পরিমাণ ২০% থেকে ২৫% এর কম নয়, এবং মাছের খাবারের মতো প্রাণীজ প্রোটিন ফিডের পরিমাণ যথাযথভাবে হ্রাস করা উচিত যাতে স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং গ্রহণ উন্নত হয়।
৩. ফিড অ্যাডিটিভ সাবধানে ব্যবহার করুন
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে চাপ এবং ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া এড়াতে, খাদ্য বা পানীয় জলে কিছু অ্যান্টি-স্ট্রেস প্রভাবযুক্ত সংযোজন যোগ করা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, পানীয় জলে 0.1% থেকে 0.4% ভিটামিন সি এবং 0.2% থেকে 0.3% অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড যোগ করলে তাপের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে উপশম হতে পারে।
৪. খনিজ খাদ্যের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার
গরম ঋতুতে, খাদ্যতালিকায় ফসফরাসের পরিমাণ যথাযথভাবে বৃদ্ধি করা উচিত (ফসফরাস তাপের চাপ উপশমে ভূমিকা পালন করতে পারে), অন্যদিকে পাড়ার মুরগির খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৩.৮%-৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যাতে ক্যালসিয়াম-ফসফরাস ভারসাম্য অর্জন করা যায়, ক্যালসিয়াম-ফসফরাস অনুপাত ৪:১ এ রাখা যায়।
তবে, খাদ্যে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি মুরগির স্বাদকে প্রভাবিত করবে। ডিম পাড়ার মুরগির খাদ্যের স্বাদকে প্রভাবিত না করে ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য, খাদ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, এটি আলাদাভাবে সম্পূরক করা যেতে পারে, যাতে মুরগি তাদের শারীরবৃত্তীয় চাহিদা পূরণের জন্য অবাধে খাওয়াতে পারে।
আমরা অনলাইনে আছি, আজ আমি আপনাকে কী সাহায্য করতে পারি? অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনdirector@retechfarming.com.
পোস্টের সময়: আগস্ট-১৮-২০২২
